1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা

৪ মার্চ ২০২৪

বিজেপি রাজ্যের ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও প্রায় চূড়ান্ত।

https://p.dw.com/p/4d8FK
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী
অধীর চৌধুরীছবি: Syamantak Ghosh/DW

লোকসভা নির্বাচনের দিন এখনো জানায়নি নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই তা ঘোষণা হয়ে যাবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এরইমধ্যে ১৯৫ জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। গত শনিবার দিল্লির সদর দপ্তর থেকে এই তালিকা ঘোষণা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বারাণসী থেকে প্রার্থী হবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৯ সালেও মোদী বারাণসী থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে প্রার্থী হবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দীর্ঘদিন এই আসন থেকে ভোট জিতেছেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। ২০১৯ সালে প্রথম এই আসন থেকে লড়েন অমিত শাহ।

রোববার কলকাতায় প্রদেশ কংগ্রেসের দপ্তরে রাজ্যের তালিকা নিয়ে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর। সেখানে কংগ্রেসের রাজ্যের সম্ভাব্য কংগ্রেস প্রার্থী নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

এখনো পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, বহরমপুর আসনটি অধীর চৌধুরীর জন্য রাখা হয়েছে। এখান থেকেই একাধিক লোকসভা নির্বাচন জিতেছেন অধীর। নেপাল মাহাতো দাঁড়াতে পারেন পুরুলিয়া থেকে। এই আসন থেকেই বরাবর লড়াই করেছেন নেপাল। দার্জিলিংয়ে দাঁড়াতে পারেন শংকর মালাকার। উল্লেখ্য, বিজেপি এই আসনটি দিতে পারেন সাবেক কেন্দ্রীয় সচিব হর্ষবর্ধন শ্রীংলাকে। যদিও শ্রীংলা এখনো পর্যন্ত এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

তমলুক থেকে কংগ্রেস দাঁড় করাতে পারে লক্ষ্মণ শেঠকে। একসময় সিপিএমের এই নেতা পূর্ব মেদিনীপুরের অত্যন্ত শক্তিশালী দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বালুরঘাটে প্রার্থী হতে পারেন কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ প্রসাদ। মালদহ দক্ষিণে প্রার্থী হতে পারেন গণি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য ইশা খান চৌধুরী। আর কলকাতা পুলিশের সাবেক কমিশনার প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের ছেলে রণজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে।

ডায়মন্ড হারবার এবং মুর্শিদাবাদ আসন দুইটি কংগ্রেস সিপিএম এবং আইএসএফ-কে ছেড়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে মুর্শিদাবাদ থেকে প্রার্থী হতে পারেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।

বাম এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে এদিন দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। তবে জোট নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি। কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সঙ্গে 'ইন্ডিয়া' জোটে সিপিএম-ও আছে। ফলে রাজ্য স্তরেও সেই জোট অক্ষুণ্ণ থাকতে পারে। তৃণমূল আগেই জানিয়ে দিয়েছে, জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটে তারা থাকলেও রাজ্যে তারা কংগ্রেস এবং বামেদের সঙ্গে আসন রফা করবে না।

এদিকে শনিবার রাজ্যের ২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাতে বড় কোনো চমক নেই। কোচবিহারে প্রার্থী করা হয়েছে নীশীথ প্রামাণিককে। নীশীথ বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী। বালুরঘাটে প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। মালদহ উত্তরের প্রার্থী সাবেক সিপিএম নেতা খগেন মুর্মু। ২০১৯ সালে ভোটের আগে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বনগাঁ-র প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। ২০১৯ সালে এই আসন থেকে নির্বাচনে জিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন শান্তনু। হুগলি থেকে দাঁড়াবেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যাদবপুর আসনটি দেওয়া হয়েছে অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়কে। অনির্বাণ আরএসএস-এর বিশিষ্ট মুখ। কাঁথি থেকে লড়বেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। এর আগে এই আসন থেকে তৃণমূলের টিকিটে জিতেছেন শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী। আসানসোল আসনটি দেওয়া হয়েছিল ভোজপুরি গায়ক পবন সিংকে। তবে পবন শেষপর্যন্ত নির্বাচনে না-ও লড়তে পারেন।

তৃণমূল এখনো পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা জানায়নি। বস্তুত, নির্বাচনের আগে তৃণমূলের অন্দরে তীব্র অন্তর্কলহ শুরু হয়েছে। উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায় এবং কুণাল ঘোষ।

সিপিএম-ও এখনো পর্যন্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেনি। তবে সোমবার সিপিএম এবং বিজেপি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করে তাদের দাবি জানিয়েছে। বস্তুত, সোমবারই রাজ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য কলকাতায় এসেছিল। সেখানে সমস্ত দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই তাদের কথা হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই)