1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ, গলদের অল্পস্বল্প গল্প

এম এম কায়সার, সম্পাদক, স্পোর্টস বাংলা
এম এম কায়সার
১৮ নভেম্বর ২০২৩

বিশ্বকাপের বিশ্বমঞ্চে খেলে অনেক দল৷ জিতেও অনেকে৷ তবে এই অনেকের ভিড়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একটু অন্যরকম৷

https://p.dw.com/p/4Z817
ওয়ানজে ব়্যাংকিংয়ে ১৪ নাম্বারে থাকা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও ২০২৩ বিশ্বকাপে হারের লজ্জায় পড়তে হয়েছে ৮ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশকে।
ওয়ানজে ব়্যাংকিংয়ে ১৪ নাম্বারে থাকা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও ২০২৩ বিশ্বকাপে হারের লজ্জায় পড়তে হয়েছে ৮ নাম্বারে থাকা বাংলাদেশকে।ছবি: DIBYANGSHU SARKAR/AFP/Getty Images

পারফরমেন্স, মন-মানসিকতা এবং অল্পতেই তুষ্টির সুখ খোঁজা বাংলাদেশ দল আদতে বিশ্বকাপের মতো আসরে প্রতিযোগীর ছদ্মাবরণে নেহাৎ একটি অংশগ্রহণকারী দল৷ ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাস সেই সাক্ষ্য দিচ্ছে৷ এই টুর্নামেন্টে আমরা কখনো সখনো দুই একটি ফেভারিট বা ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষসারির দলকে হারাই৷ খানিকটা হৈ চৈ তুলি৷ ছিটেফোঁটা সেই জয়ের আনন্দে আবেগে গলে গান গাই- বিশ্বকাপ একদিন আমাদের হবে! এবারের বিশ্বকাপে আমরা হাজির হই, তেমনই একটা গানের সুর বেঁধে৷ সেই দল যখন ১০ দলের মধ্যে অষ্টম হয়ে ফিরলো তখন দলের সুরকার, গীতিকার, বাজনাদার এমনকি পাহারাদার সবাই একে অন্যেকে দোষী ঠাওরাচ্ছেন; বলছেন, ব্যাটা তুই অপরাধী!

ভুল পরিকল্পনা, ভুল মানুষ এবং ভুল স্বপ্ন নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিলাম৷ আর তাই এখন পুরো দেশের ক্রিকেট সেই স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় জর্জরিত৷

ব্যাখাটা শুনি৷

ভুল পরিকল্পনা (১)

যে ক্রিকেটার এই বিশ্বকাপে দলের হয়ে সেরা পারফর্মার তাকেই তো টিম ম্যানেজমেন্ট দলেই রাখতে চায়নি৷ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্ট্রাইকরেট ভালো না৷ ফিল্ডিংয়ে চলে না৷ কাঁধের চোটে বোলিংও হয় না৷ বয়স চল্লিশের আশেপাশে৷ তাই বিশ্বকাপের আগের তিন সিরিজ ও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে তাকে জোর করে বিশ্রামে পাঠানো হয়৷ কার্যত বিশ্রামের আড়ালে তাকে দল থেকে বাদই দেওয়া হলো৷ আর বিশ্বকাপের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এই প্রসঙ্গে কি বলেছিলেন সেটাও একটু শুনি-‘সত্যি বলতে যেহেতু ও (মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ) জাতীয় দলে নেই, আমি এখন সেই সূত্রে রিয়াদকে বিশ্বকাপে দেখছি না৷'

নির্বাচক, কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট কেউই তাদের বিশ্বকাপের শুরুর পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে রাখেননি৷ কিন্তু তার বিকল্প হিসেবে যাদের ভাবা হচ্ছিল তারা চরম ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে রিয়াদকে দলে জায়গা দেওয়া হলো৷ সেই রিয়াদ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি করলেন৷ দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করলেন৷ সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকালেন৷ বেশি বাউন্ডারিও তারই৷ স্ট্রাইক রেট, রান গড়ে দলের সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন৷

অথচ এই ক্রিকেটারকে ছাড়াই বিশ্বকাপের পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ দল!

ভুল পরিকল্পনা (২)

পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে বাংলাদেশ দুটো কাজ বেশ দক্ষতার (!) সঙ্গে করেছে৷ প্রথমত প্রতিরোধহীন টানা হার৷ দ্বিতীয়ত প্রতি ম্যাচেই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষণ-নিরীক্ষণ৷ মিডলঅর্ডার ব্যাটিং পুরোদুস্তর ডিজঅর্ডার হয়েছে এই অতিরিক্ত পরীক্ষণ নিরীক্ষণে৷ তিন থেকে সাত নম্বর পর্যন্ত ব্যাটিং অর্ডারটা প্রায় প্রতি ম্যাচেই অদল বদল হয়েছে৷ কোচ অধিনায়ক হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ কোনো পরীক্ষণের জায়গা নয়, পারফরম্যান্স প্রর্দশনের জায়গা৷ কোচ-অধিনায়ক ব্যাখ্যা দিচ্ছেন প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বিবেচনা করেই ব্যাটিং অর্ডারে এই উপর-নিচ করা হয়েছিল৷ কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যে একটা সেটেল ব্যাটিং লাইনআপের আত্মবিশ্বাস ভেঙে চুরমার৷ বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই মানছেন পরিকল্পনাটা ভুল ছিল৷ তিনি বলেছেন-‘এটা যদি (ব্যাটিং অর্ডার অদল বদল) আমাদের না করতে হতো তাহলে ভালো হতো৷ এই বিশ্বকাপে আমরা এটা অনেক বেশি করেছি৷ ভালো হতো এটা যদি আমরা আরো কম করতে পারতাম৷ এবং সেরা হতো যদি এটা একেবারেই না করতে হতো৷'

ভুল পরিকল্পনা (৩)

 প্রতি ম্যাচে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের সঞ্চয়টা ছিল দিন আনি দিন খাই এর মতোই! ২৫০ হলেই বুক ভরা স্বস্তি, যাক বাবা আড়াই'শ তো পার হলো৷ অথচ বাস্তবতা হলো এই বিশ্বকাপে চারশ'র নিচে কোনো রানই নিরাপদ নয়৷ উদাহরণ তো হাতের কাছেই৷ শ্রীলঙ্কা ৩৪৫ রান করেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি৷ অস্ট্রেলিয়া ৩৮৪ রান তুলে জিতে মাত্র ৫ রানে৷ নিউজিল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ৪০১ রান জমা করেও ম্যাচ হেরেছে বৃষ্টি আইনে৷ যেখানে সবগুলো দল নিত্যই ৩০০ ছাড়ানো স্কোর গড়ছে সেখানে বাংলাদেশ ৯ ম্যাচ সাকুল্যে একবার মাত্র তিনশ'র ওপর রান তুলেছে৷ সেটা প্রায় অনায়াসে টপকে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া জানিয়ে দিল তিনশ রান এই বিশ্বকাপে মামুলি একটা অর্জন৷ এখানে জিততে হলে বা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে হলে স্কোরকার্ডে চাই ৩৫০ রানের জমা৷ সমস্যা হলো সেই পরিকল্পনার পথেই  যে ছিল না বাংলাদেশ৷ আর বাস্তবতা হলো শক্তপোক্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অতো বেশি রান তোলার সামর্থ্যইে যে খামতি বাংলাদেশের৷

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচপ্রতি রান গড় ২২৮৷ রানোৎসবের বিশ্বকাপে এই মামুলি যোগাড় ঐ যে দিন আনি দিন খাই টাইপ! 

ভুল মানুষ (১)

মার্চের শুরুতে নতুন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পেয়ে বিসিবি মনে করলো তারা বিশ্বকাপের জন্য সেরা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে৷ এই কোচের হাতে সাফল্য এনে দেওয়ার মতো ম্যাজিক আছে এমন বিবেচনায় বিসিবি আয়েশের হাই তুলল৷ অথচ বিশ্বকাপের সময় যতই কাছে আসছিল ততই যেন বাংলাদেশ দলে সমস্যা প্রকট হচ্ছিল৷ স্পষ্ঠত হলো তামিম ইকবালকে তিনি অপছন্দ করতে শুরু করেছেন৷ সম্ভবত তামিমও তাই৷ তামিমের অবসর কান্ডের পর দুজনের মধ্যে হাই হ্যালোও বন্ধ৷ অথচ তখনো তামিম ওয়ানডে দলের অধিনায়ক৷ আর দলের কোচ হাথুরুসিংহে৷ অধিনায়ক ও কোচ যখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলা বন্ধ করে দেন তখন বুঝতে হবে এই দল আর দল নেই, উপদলে পরিণত হয়েছে! মান-অভিমান, ইনজুরি এবং কোচের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংঘাত এমনসব বিতর্কে জড়িয়ে তামিম হারিয়ে গেলেন বিশ্বকাপের দল থেকেই! অভিভাবক সংস্থা হিসেবে বিসিবি হাথুরুসিংহে ও সাকিবের সঙ্গে তামিম ইকবালের দ্বন্দ্ব, বিষোদগার ও ঝগড়া মেটানোর কোনো চেষ্টা না করে বরং তারিয়ে উপভোগ করে গেল! বিশ্বকাপে রওয়ানা হওয়ার দিনে অধিনায়ক সাকিব বিষ্ফোরক সাক্ষাতকারে তামিম ইকবালকে সমালোচনায় ধুঁয়ে দিলেন৷ তামিমও পরদিন ফেসবুক লাইভে নিজেকে ডিফেন্ড করলেন৷ দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার, চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার প্রকাশ্যে এমনভাবে একে অন্যের ময়লা ঝাড়লেন তাতে সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা হয়ে গেল বিশ্বকাপ দলেরই৷ ২২ গজের ক্রিকেট থেকে ফোকাস সরে জায়গাটা নিয়ে নিল কুটনামি, হিংসামি৷ শুধু মাঠে নয়, সংবাদ সম্মেলনেও এমনসব প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছিল কোচ ও অধিনায়ককে৷ এমনসব ভুল মানসিকতার যোগেই বিশ্বকাপ থেকে বিয়োগ হয়ে গেল বাংলাদেশ সবার আগে৷

এম এম কায়সার,সম্পাদক, স্পোর্টস বাংলা
এম এম কায়সার, সম্পাদক, স্পোর্টস বাংলাছবি: M M Kaiser

ভুল মানুষ (২)

পঞ্চপাণ্ডব৷ একসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটে শব্দটা ভীষণ জনপ্রিয়তা পায়৷ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর পাঁচ পান্ডব কমে চার হয়ে গেল৷ আর তামিম ইকবাল বিশ্বকাপ দল থেকে ঝরে পড়ায় এবারের বিশ্বমঞ্চে সেই তালিকায় আরো কমে তিনে রইল৷ সন্দেহ নেই পঞ্চপাণ্ডবের এই সময়টায় বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে বেশ ভালো কিছু সাফল্য পেয়েছে৷ কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আর বিশ্বকাপের মতো বড় আসরের ব্যবধান অনেক বেশি৷ মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সমন্বয়ে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মাঝে সাজে চমক দেখিয়েছে৷ বিশ্বকাপের কোনো এক আসরে সর্বোচ্চ তিনটা পর্যন্ত ম্যাচ জিতেছে৷ আমাদের আপাত দৌড় ওটুকুই৷ কিন্তু বিশ্বকাপ জিততে হলে মাত্র তিনটি ম্যাচে জয়ের সাফল্য ভীষণ ঠুনকো৷ ধারাবাহিকভাবে আরো অনেক ম্যাচ জিততে হবে৷ সেই অর্জনের জন্য আমাদের আরও বেশি মেধাবি ক্রিকেটার চাই৷ সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে আমরা সর্বোচ্চটা পেয়ে গেছি৷ এর পরের ধাপ পেরুতে হলে আমাদের অবশ্যই সাকিব বা মুশফিকের চেয়ে দক্ষ,  মেধাবী ও ম্যাচজয়ী ক্রিকেটার চাই৷

ভুল মানুষ (৩)

বিশ্বকাপের মাঝপথে হঠাৎ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দেশে ফিরে এলেন৷ তার শৈশবের কোচ ও মেন্টর নাজমুল আবেদিন ফাহিমের কাছ থেকে ব্যাটিং টিপস নিতে৷ প্রশ্ন উঠলো ১৫ জনের ক্রিকেট দলের জন্য যে নয় জন কোচিং স্টাফ আছেন তারা কি সাকিবের ব্যাটিং সমস্যা সমাধানের জন্য যথেস্ট যোগ্য নন? তাছাড়া বিশ্বকাপে তো সাকিবের মতো দলের আরো ব্যাটসম্যানরাও অফফর্মে ছিলেন৷ ব্যাটিং সঙ্কটে ছিলেন৷ তারা সবাই যদি নিজেদের প্রিয় কোচের কাছে দেশে ফিরতে চাইতেন তখন কি হতো? বিশ্বকাপের মাঝপথে নিজের ব্যাটিং কোচের কাছে সাকিবের এভাবে ছুটে আসাটা জানান দিলো বিশ্বকাপের কোচিং স্টাফ বা প্যানেলের ওপর তার সমূহ আস্থা নেই৷ বিশ্বকাপের শেষভাগে এসে টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও অস্বস্তি নিয়ে জানিয়ে দিলেন, এই দলের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ, দল নির্বাচন, কৌশল কোনোকিছুর সঙ্গে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়নি৷ অথচ কোচিংটা তার বড় প্যাশন৷ শুধুমাত্র ক্রিকেটারদের ডিসিপ্লিন দেখার কাজ তাকে করতে হচ্ছে৷  চরম বিরক্তি নিয়ে সুজন বলেছেন-‘এমনটা জানলে আামি তো দলের সঙ্গে বিশ্বকাপেই আসতাম না!' বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার আগেই আমাদের শুনতে হলো দলের বেশিরভাগ কোচিং স্টাফকে বিদায় করে দিচ্ছে বিসিবি৷

তারা যদি ভুল কিছু না হতেন তাহলে তো তাদের রেখেই দিতো বোর্ড৷ তাই নয়কি?

এবং ভুল স্বপ্ন

সেমিফাইনালের স্বপ্ন ঝুলিয়ে বিশ্বকাপে যায় বাংলাদেশ দল৷ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থেকে শুরু করে বোর্ডের বড় কর্তা সবাই সেই রঙিন স্বপ্ন আঁকেন৷ সমস্যা হলে এই স্বপ্ন দেখার মধ্যেই শুধু আটকে থাকে বাংলাদেশ৷ সফল করার কার্যকর কোনো উদ্যোগ কি নিয়েছিল বিসিবি? বিশ্বকাপের সাতমাস আগে নতুন কোচ এলেন৷ দু'মাস আগে নতুন অধিনায়ক হলো৷ রওয়ানা হওয়ার কদিন আগে মাত্র দল ঘোষণা হলো৷ প্রত্যেক প্রতিপক্ষ এবং ভেন্যুর জন্য যে কার্যকর বিশ্লেষণ এবং রণপরিকল্পনা প্রয়োজন ছিল তা থেকে অনেক দুরে ছিল বাংলাদেশ৷ মিডিয়ার সঙ্গে দুরুত্ব রাখতে গিয়ে দলের কয়েকজন খেলোয়াড় তো মিডিয়াকে প্রতিপক্ষই বানিয়ে ফেলেন! দল স্বপ্ন দেখছিল আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে তো জিতবোই, বাকি দুটো জয় শীর্ষ র্যাঙ্কিংয়ে থাকা দলের বিরুদ্ধে আসবে৷ কিন্তু টানা ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের একতরফা ও আত্মসর্মপনের ভঙ্গিতে হার সব হিসেব গোলমেলে করে দেয়৷ নিজেদের প্রকৃত শক্তিমত্তা ও গুণবিচারে ভুল অঙ্ক কষা বাংলাদেশ অবশেষে বুঝতে পারে এই বিশ্বকাপের যাত্রাপথে তারা শুধুই যাত্রী; তাও একেবারে পেছনের আসনের৷