1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিনা নোটিশে দুদকের কর্মী অপসারণের বিধি বহাল

১৬ মার্চ ২০২৩

দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া ছাড়াই কর্মচারীকে অপসারণ করতে পারবে৷ আপিল বিভাগ ৫৪(২)বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করেছেন৷ পুরনো বিধি বহাল থাকায় চাকরিচ্যুত আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিন চাকরি ফেরত পাবেন না৷

https://p.dw.com/p/4OkdS
ছবি: bdnews24.com

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ এ রায় দেন৷ আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন৷ তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক৷ অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান৷

২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধিতে বলা হয়েছে, এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যা কিছুই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ না দর্শিয়ে কোনও কর্মচারীকে ৯০ দিনের নোটিশ দিয়ে অথবা ৯০ দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করতে পারবে৷

পরে আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া এভাবে কর্মচারী অপসারণ সংবিধানের ২৭, ২৯, ৩১ ও ১৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন৷ তাই এটা থাকতে পারে না৷ হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছিলেন৷ পরে দুদক লিভ টু আপিলের পর আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছিলেন৷ এরপর রিভিউ করে আপিলের সুযোগ পায় দুদক৷ 

২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল৷ তিনি ৫৪(২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন৷ সে রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন৷

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা ২০১৬ সালের নভেম্বরে খারিজ করেন আপিল বিভাগ৷ এর বিরুদ্ধে পরের বছর দুদক পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে৷ পরে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর দুদককে আপিল করার অনুমতি দেন৷ আর এই আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়৷ পরে দুদক আপিল করে৷

এদিকে দুদকের উপসহকারী পরিচালক পদ থেকে চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিনকে গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি অপসারণ করলে তিনিও দুদক কর্মচারী বিধিমালার ৫৪(২) বিধি ও চাকরিচ্যুতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন৷ পরে ১১ এপ্রিল তা শুনানির জন্য ওঠে৷ কিন্তু তখন পর্যচন্ত মো. আহসান আলীর মামলায় দুদকের দুদকের রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়ায় শরীফের রিটের শুনানি মুলতবি করে আদেশ দেন হাইকোর্ট৷ পরে এ মুলতবি আদেশের বিরুদ্ধে গত বছর ১৬ জুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন শরীফ৷

পরে গত ৩ জানুয়ারি শরীফের সেই লিভ টু আপিল ও দুদকের আপিল শুনানির জন্য একসঙ্গে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে৷ আবেদন দুটির একসঙ্গে শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ ১৬ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ৷

এনএস/কেএম (বাংলা ট্রিবিউন)