1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রত্যাবাসনে রাজি হবো না: মিয়ানমার দেখে আসা রোহিঙ্গারা

৫ মে ২০২৩

শুক্রবার মিয়ানমার পরিদর্শন করা রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা নিজেদের ইচ্ছায় সেখানে যাবেন না৷ রোহিঙ্গাদের জন্য মিয়ানমারে নির্মিত দুটি মডেল গ্রাম দেখতে কয়েকজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও ২০ জন রোহিঙ্গার একটি দল ঐ সফরে গিয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/4Qxg6
মিয়ানমারে রওয়ানা হচ্ছে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল৷
শুক্রবার মিয়ানমার পরিদর্শন করা রোহিঙ্গারা বলছেন, তারা নিজেদের ইচ্ছায় সেখানে যাবেন না৷ ছবি: AFP

প্রতিনিধি দলের এক রোহিঙ্গা সদস্য মোহাম্মদ সেলিম এএফপিকে বলেন, ‘‘আমরা ক্যাম্প দেখেছি... কিন্তু তারা আমাদের নাগরিকত্বের দাবি মানছে না৷ আমরা ক্যাম্পে যাবো না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই নিজেদের জমিতে ফিরতে হবে৷ আমাদের ঐ জায়গা পছন্দ হয়নি৷ আমরা যাবো না৷ যদি আমাদের দাবি মানা হয় এবং প্রত্যাবর্তন নিরাপদ হয় তাহলে আমরা ফিরবো৷’’ 

রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দলের এক নারী সদস্য জানান, তিনি নতুন নির্মিত ঐ জায়গায় তার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত৷ সেখানে বাজার, হাসপাতাল ও অভ্যর্থনা কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে৷ ‘‘সেখানে কোনোকিছুই আমাদের জন্য নিরাপদ নয়৷ তারা আবার আমাদের অত্যাচার করতে পারে,’’ বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঐ রোহিঙ্গা নারী৷

এদিকে, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা কমিশনার মিজানুর রহমান বলছেন, ‘‘আজ আমরা মিয়ানমার গিয়েছিলাম৷ সেখানে অনেক রোহিঙ্গা নিশ্চিন্তে ঘুরে-ফিরে বেড়াচ্ছে, ব্যবসা করছে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যাবাসন অবশ্যই শুরু হতে হবে৷ মিয়ানমারের প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশে আসবেন৷ তারপর আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে৷’’

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এএফপিকে বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে এ মাসের শেষের দিকে প্রত্যাবাসন শুরুর আশা করছেন তারা৷

এর আগে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছিলেন, তারা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সফর সম্পর্কে অবগত আছে৷ তবে তারা এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে জানান সংস্থার মুখপাত্র রেজিনা ডে লা পোর্টিলা৷ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় এই সফর হচ্ছে বলেও জানান তিনি৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)