1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে আরো বড় ধর্মঘটের আশঙ্কা

৩০ মার্চ ২০২৩

জার্মানির পাবলিক সার্ভিস কর্মীদের বেতন-বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক সংগঠনগুলি কর্মদাতাদের সঙ্গে রফায় আসতে পারেনি৷ তৃতীয় দফার আলোচনাও ব্যর্থ হওয়ায় দেশজুড়ে বড় আকারের ধর্মঘটের আশঙ্কা বাড়ছে৷

https://p.dw.com/p/4PTPp
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যার্ডি-র প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে (বাম দিকে)
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যার্ডি-র প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে (বাম দিকে)ছবি: Wolfgang Kumm/dpa/picture alliance

বেতন-বৃদ্ধির জন্য চাপ বাড়াতে শ্রমিক সংগঠনগুলি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘সতর্কতামূলক' ধর্মঘট ডেকে বার বার জার্মানির জনজীবন স্তব্ধ করে দিচ্ছে৷ গত সোমবার দেশজুড়ে পরিবহণ ধর্মঘট সেই সংগ্রামের সবচেয়ে জোরালো দৃষ্টান্ত ছিল৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কর্মদাতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না৷

বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত আলোচনার শেষেও দুই পক্ষ সেই কাজে ব্যর্থ হয়েছে৷ তবে তৃতীয় দফার আলোচনাই চূড়ান্ত নয়, এবার নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীদের শামিল করে সমাধানসূত্রে পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই প্রক্রিয়া চালু করতে হবে৷ ছয়টি কাজের দিনের মধ্যে মূল প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে৷ তার দশ দিনের মধ্যে ফলাফল পেশ করতে হবে৷ সেই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের আশঙ্কা দেখা দেবে৷ তবে আসন্ন ইস্টারের ছুটি গোটা উদ্যোগে কিছুটা বিলম্ব ঘটাবে বলে আপাতত সেই আশঙ্কা আরও কিছুটা দূরে সরে যাচ্ছে৷

বার্লিনের উপকণ্ঠে পট্সডাম শহরে সরকার, পৌর কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলি আলোচনা চালিয়েছে৷ সাফল্য না পেলেও আপাতত আরও ধর্মঘট এড়ানোর চেষ্টা চলছে৷ আগে থেকে বাছাই করা নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীরা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সমাধানসূত্রের প্রস্তাব দিতে চলেছেন৷ এই সময়কালে কোনো ধর্মঘট যাতে না ডাকা হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে চান তাঁরা৷ উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাস থেকে শ্রমিক সংগঠন ‘ভ্যার্ডি' ও সরকারি কর্মীদের সংগঠন ‘ডিবিবি' ফেডারেল ও স্থানীয় সরকারগুলির সঙ্গে দশ শতাংশেরও বেশি বেতনবৃদ্ধির দাবিতে আলোচনা চালিয়ে আসছে৷ প্রায় ২৫ লাখ কর্মীর হয়ে দরকষাকষি করছে এই দুই সংগঠন৷ সরকার এখনো পর্যন্ত আট শতাংশের বেশি বেতন বাড়াতে রাজি হচ্ছে না৷

বৃহস্পতিবার ভোরে ভ্যার্ডি-র প্রধান ফ্রাংক ভ্যার্নেকে বলেন, সামাজিকভাবে ন্যায্য ন্যুনতম  বেতন আদায় করার চেষ্টা আপাতত ব্যর্থ হয়েছে৷ তিনি এ জন্য কর্মদাতাদের দায়ী করেন৷ সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের প্রধান উলরিশ সিলবারবাখ বলেন, মূল্যস্ফীতির ধাক্কায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা যেভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, তার অন্তত কিছুটা ক্ষতিপূরণ করতে এমন  বেতন-বৃদ্ধির দাবি করা হচ্ছে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেই লক্ষ্য এখনো পূরণ করা যায়নি৷

ফেডারেল সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার জটিলতা কাটাতে মধ্যস্থতার পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব না হওয়ায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)