জনগণের রায় মেনে নেবেন আজমত উল্লা
২৫ মে ২০২৩সকাল ৯টার দিকে গাজীপুরের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের টঙ্গী দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান৷
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গাজীপুরে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৮০ হাজারের কাছাকাছি। নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪৮০টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে এবার ৮ মেয়র প্রার্থীসহ সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে মোট ৩৩৩ জন সরাসরি ভোটযুদ্ধে আছেন।
তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী ফয়সাল আহমেদ সরকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তাকে নিয়ে এবার নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৩৩৪ জন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. আজমত উল্লা খান, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ এরশাদ, মাছ প্রতীকে গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম। এবং হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম লড়ছেন।
মো. আজমত উল্লা খান বলেন, ‘‘স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে এসেছেন৷ যে বড় লাইন দেখা যাচ্ছে এতেই বোঝা যাচ্ছে পুরো গাজীপুরে জনগণের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী৷ আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল৷ সব সময়ই আমি জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল৷ আজকে জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে আমি সেই রায় অবশ্যই মেনে নেব৷
তিনি বলেন, জয় পরাজয় আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত৷ ফয়সালা আসমান থেকে হয়, এটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, যোগ করেন তিনি৷
বাড়ির পাশের কেন্দ্রে অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট নেই? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘‘আমি তো কাউকে কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দিতে পারব না৷ সুতরাং এই কথাটি তাদের জিজ্ঞেস করুন, উত্তর অবশ্যই পাবেন৷ ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট নিয়ে কোনো বাধা নেই৷''
অনেক জায়গায় এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এ বিষয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘‘আপনি সুনির্দিষ্ট করে বলুন, কোনো কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে৷ অন্য প্রার্থীরা যদি এজেন্ট দিতে না পারে তাহলে আমি তো সেই দায়িত্ব নেব না৷''
ইভিএম মেশিনে অনেক ভোটারের ফিঙ্গারে মিলছে না, তারা ভোট দিতে পারেনি এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘‘যদি কারো ফিঙ্গার না মেলে, আর তার যদি স্মার্ট কার্ড থাকে তবে সে অবশ্যই ভোট দিতে পারবেন, এটা সবার জন্য প্রযোজ্য৷''
বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন ত্রুটি দেখা দিচ্ছে, এই কারণে ভোট গ্রহণের সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করব, ভোট গ্রহণের সময় পর্যন্ত ভোটাররা ভোট দিবে৷ যদি সময় শেষে হয়ে যায়, তবে যদি লাইনে ভোটাররা দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে সবার ভোট যেন নেওয়া হয়৷''
এপিবি/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার)