1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চট্টগ্রামেও এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

৩০ মার্চ ২০২৩

সংবাদ প্রকাশের কারণে মানহানির অভিযোগ এনে দৈনিক যুগান্তরের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি৷

https://p.dw.com/p/4PVob
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি: DW

ঢাকায় প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিয়ে আলোচনার মধ্যে এ খবরটি এল৷

বুধবার যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর৷ বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জহিরুল কবীরের আদালত মামলাটি গ্রহণের পর তার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন৷

ডয়চে ভেলের বাংলাদেশ কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর খবরে বলা হয়েছে, যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক নেতা বাবরকে ‘দখলবাজ, টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার' হিসেবে সম্বোধন করে মানহানি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৬ ও ২৯ ধারায় মামলাটি করা হয়৷

যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন মামলার বাদী বাবর৷ চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি৷

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৩ মার্চ রাত ১২টা ১০ মিনিটে দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে ‘দুবাই ফেরত শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল' শিরোনামের সংবাদটি প্রকাশিত হয়৷ ওই সংবাদে শাহ আলম সিন্ডিকেটের সঙ্গে বাবরের সম্পৃক্ততা ও রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগের কথা প্রকাশ করা হয়৷

বাবর এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত৷ পূর্ব রেলের সদর দপ্তর সিআরবি এলাকায় রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে জোড়া খুনের মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছিল৷ পরে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি৷

পরদিন ১৪ মার্চ লাবলু নিজের ফেইসবুক পেজ থেকেও একই সংবাদ শেয়ার করেছেন জানিয়ে এজাহারে বলা হয়, ‘‘প্রকাশিত সংবাদে অভিযোগকারীকে (বাদী) ‘কুখ্যাত সন্ত্রাসী, অস্ত্রদাতা, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসীদের গডফাদার' হিসেবে দাবি করা হয়৷ অথচ অভিযোগকারীর (বাবর) নামে বাংলাদেশের কোনো আদালতে কোনো ফৌজদারি মামলা কিংবা অভিযোগ পর্যন্ত নেই৷''

টিএম/কেএম