ক্যারোলিনা শিনো : ২০২২ সালে জাপানের নাগরিক, ২০২৪-এ ‘মিস জাপান’
ইউক্রেনীয় মা-বাবার সন্তান ক্যারোলিনা শিনো সম্প্রতি ‘মিস জাপান ২০২৪’ হয়েছেন৷ মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের সূত্রে জাপানের নাগরিক হলেও দেখতে ‘জাপানি’ না হওয়ায় তাকে নিয়েও শুরু হয়েছে পুরোনো এক আলোচনা৷
মিস জাপান ২০২৪
ইউক্রেনীয় মা-বাবার সন্তান ক্যারোলিনা শিনো সম্প্রতি ‘মিস জাপান ২০২৪’ নির্বাচিত হয়েছেন৷ কিন্তু তিনি দেখতে জাপানিদের মতো না হওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে৷ ১৯৯৮ সালে ইউক্রেনে জন্মগ্রহণ করেন শিনো৷ মা-বাবার বিচ্ছেদের পর তার মা এক জাপানিকে বিয়ে করেন৷ তাই পাঁচ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে জাপান চলে যেতে হয় শিনোকে৷ ২০২২ সালে জাপানের নাগরিকত্ব পান তিনি৷
চেহারায় প্রাধান্য
শিনোর বিজয়ের পর জাপানে আলোচনা তৈরি হয়েছে৷ একপক্ষ তার জয়কে স্বাগত জানালেও আরেকপক্ষের বক্তব্য, ‘জাপানি’ বিষয়টা চেহারার বিষয়, জাতীয়তার নয়৷ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ একজন লিখেছেন, ‘‘মিস জাপান হিসেবে যাকে নির্বাচিত করা হয়েছে তিনি অর্ধ-জাপানিও নন, শতভাগ ইউক্রেনীয়৷ সেই হিসেবে কি তিনি ‘মিস ইউক্রেন’ নন?’’
অতীত উদাহরণ
নয় বছর আগেও এমন আলোচনা উঠেছিল৷ সেই সময় ‘মিস ইউনিভার্স জাপান’ নির্বাচিত হয়েছিলেন আরিয়ানা মিয়ামোতো৷ তার বাবা একজন আফ্রিকান-অ্যামেরিকান৷ ‘কৃষাঙ্গ’ কেউ মিস জাপান হতে পারেন কিনা- সেবার এমন প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে৷
নাওমি ওসাকার ক্ষেত্রে ছাড়
চারটি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা জাপানি এই টেনিস খেলোয়াড়ের মা জাপানি, বাবা হাইতির৷ জাপানি ভাষা বলায় দুর্বলতা আছে তার৷ ২২ বছর বয়সে গিয়ে তিনি জাপানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছিলেন৷ কিন্তু তারপরও তিনি ‘দেখতে’ জাপানিদের মতো হওয়ায় তাকে প্রায় সবাই ঠিকভাবে গ্রহণ করেছেন৷
ফিনল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা জাপানি সাংসদ
মার্টি টুরুনেন নামে ফিনল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করা এক ব্যক্তি মিশনারি হিসেবে জাপানর গিয়ে ১৯৭৯ সালে সে দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷ নামে সামান্য পরিবর্তন করে কিছুটা জাপানি ধাঁচও এনেছিলেন৷ তার নতুন নাম হয় মারুতেই তুসুরুনেন৷ ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি জাপান সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য ছিলেন৷