1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
ফুটবলব্রাজিল

কেন আকর্ষণ হারাচ্ছে ব্রাজিলের ফুটবল?

২৭ মার্চ ২০২৪

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্রাজিলের প্রতিভাধর ফুটবলাররা বিদেশে চলে যাচ্ছেন। আর ব্রাজিলে ফটবল আকর্ষণ হারাচ্ছে।

https://p.dw.com/p/4e9q8
১৯৭০ সাল। বিশ্বকাপ ফাইনালে ইটালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সতীর্থদের কাঁধে পেলে।
ব্রাজিলের ফুটবলে সেই সোনালি যুগ আর নেই। এখন সেই দৃষ্টিনন্দন ফুটবলের মান পড়ছে। ছবি: AP Photo/picture alliance

প্যারিসে ২০২৪-এর অলিম্পিকে ব্রাজিলের ফুটবল দলকে দেখা যাবে না। কারণ, পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল অলিম্পিকে যাওয়ার জন্য কোয়ালিফাই করতে পারেনি। দক্ষিণ অ্যামেরিকার কোয়ালিফাইং গ্রুপের তালিকায় তাদের স্থান ছিল ছয় নম্বরে। যে দেশ পাঁচবার ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছে, তাদের এই শোচনীয় অবস্থার কথা ভাবলে কষ্ট হতেই পারে।

শনিবার ডরিভাল জুনিয়র কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। দুই বছরের মধ্যে তিনি হলেন পঞ্চম কোচ। তার প্রশিক্ষণে ইংল্যান্ডে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে গিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল।

ব্রাজিলের সাবেক স্ট্রাইকার গ্রাফিটের নেতৃত্বে উলফসবার্গ ২০০৯ সালে তাদের একমাত্র বুন্দেসলিগা খেতাব জিতেছিল। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেছেন,''ব্রাজিলের সেই অপূর্ব খেলা, যার জন্য পেলের মতো প্লেয়াররা মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন, তা এখন আর চেনা যায় না। ফুটবলে ব্রাজিলিয়ান ঘরানা আজ আর নেই।'' গ্রাফিট চাইছেন ও চেষ্টা করছেন, ব্রাজিলে সেই ফুটবল যাতে আবার ফিরে আসে।

প্রতিবছর কয়েকশ ফুটবলার বিদেশে যাচ্ছেন

এমন নয় যে গ্রাফিটই প্রথম বিশেষজ্ঞ, যিনি এই কথা বললেন। ২০১৪ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। তারপর বিখ্যাত ফুটবলার ও কোচ জাগালো বলেছিলেন, ব্রাজিলের সব ফুটবল প্রতিভা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ঘরের মাঠে খেতে আগ্রহী নয়। ফলে ফুটবলে ব্রাজিলের আইডেনটিটি বা পরিচয় আর বজায় থাকছে না।

প্রায় ২০ বছর হলো ইউরোপে নিয়ম বদলেছে। ফলে বাইরের দেশের ফুটবলারদের সেখানে খেলা অনেক সহজ হয়েছে। এর ফলে ঝাঁকে ঝাঁকে প্লেয়ার সেখানে যাচ্ছেন। প্রতিবছর ব্রাজিল থেকে কয়েকশ ফুটবলার সেখানে খেলতে যান।

ঐতিহাসিক ডেভিড গোমস ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''এর ফলে ব্রাজিলের ফুটবল তার পরিচয় হারিয়েছে।''

গোমস বহু বছর ধরে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসের উপর গবেষণা করছেন। তিনি বলেছেন, ''যে প্রতিভাবান ফুটবলাররা নিজের দেশে থেকে তাদের প্রতিভাকে বিকশিত করতে পারতেন, দেশের ফুটবলকে তুলে ধরতে পারতেন, তারা অকালে চলে যাচ্ছেন ইউরোপে। তাদের প্রতিভার পূর্ণ বিকাশ হচ্ছে না।'' তিনি বলেছেন, ''ব্রাজিলের ফুটবলের বিশেষত্ব ছিল, অসাধারণ ড্রিবলিং, যা দেখে দর্শকরা  আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়তো।''

২০১৮ সালে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মতো অত্যন্ত প্রতিভাবান ফুটবলার চলে যান। গতবছর গরমে এন্ডরিক চলে যান রিয়েল মাদ্রিদে।

মান পড়ছে

তবে ঘটনা হলো, ব্রাজিলের ফুটবল লিগ শুধু যে এই তারকা ফুটবলারদের হারাচ্ছে তাই নয়, তদাদের মান সমানে পড়ছে। প্রচুর ফুটবলার চলে যাচ্ছেন। তাদের হয়ত কেউ তেমনভাবে নজর করে না।

এভাবেই ফুটবল প্রতিভাদের নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপের ক্লাবগুলি।

গ্রাফিট বলেছেন, ব্রাজিলের ফুটবলাররা ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবলের সঙ্গে খুব সহজে মানিয়ে নেয়। আর হারিয়ে যায় ব্রাজিলের ঘরানা।

এবার ব্রাজিলের জাতীয় দলের হয়ে যখন ফুটবলাররা খেলতে আসেন, তখন ব্রাজিলের ঘরানার সঙ্গে ইউরোপের ঘরানার সংঘাত শুরু হয়।

২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে ব্রাজিল বিদায় নিয়েছিল।

তোবিয়াস কসার/জিএইচ/ডিডাব্লিউ