ইন্টারনেটের গতি: কার কত বেশি

স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স অনুযায়ী, অক্টোবরে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে প্রথম তিন-এ মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও কুয়েত৷ দেশগুলোতে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোডের গড় গতি যথাক্রমে ২৬৯.৪১, ২০৬.৮০ ও ১৯১.৭৪ এমবিপিএস৷ তবে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডের গতিতে এক্ষেত্রে সবার উপরে সিঙ্গাপুর (২৬৪.১৫ এমবিপিএস), হংকং (২৬৩.০৭ এমবিপিএস) ও চিলি (২৪৮.৬৫ এমবিপিএস)৷

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে শীর্ষ ১০-এ রয়েছে এশিয়ার আরো দুই দেশ চীন ও সাউথ কোরিয়া এবং চীনের সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল ম্যাকাও৷ চীন চতুর্থ (১৬৪.১৪ এমবিপিএস), ম্যাকাও পঞ্চম (১৫৫.৭৫ ডাউনলোড স্পিড) সাউথ কোরিয়ার (১৪৫.২৫ ডাউনলোড স্পিড) অবস্থান সপ্তম৷ ব্রডব্যান্ডের গতিতেও শীর্ষ ১০ এর ৫টিই এশিয়ার৷ সিঙ্গাপুর, হংকং ছাড়াও প্রথম ১০ এ জায়গা করে নিয়েছে চীন ও থাইল্যান্ড৷

ইউরোপে মোবাইল ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি গতি পাবেন নরওয়েতে৷ ১৪৬ এমবিপিএস ডাউনলোড গতি নিয়ে বিশ্বে তাদের অবস্থান ষষ্ঠ৷ এরপর অষ্টম অবস্থানে ডেনমার্ক (১৪৩.৬৩ এমবিপিএস), নবম বুলগেরিয়া (১৪২.০৭ এমবিপিএস) আর দশম আইসল্যান্ড (১৩৯.৫২ এমবিপিএস)৷ এক্ষেত্রে জার্মানি রয়েছে ৪১ তম অবস্থানে (৬৪.৭৪ এমবিপিএস)৷

মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড স্পিডের দিক থেকে বিশ্বের প্রযুক্তি অঙ্গনে নেতৃত্ব দেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ১৩ তম (১০৩.৬৯ এমবিপিএস)৷ ২১ তম অবস্থানে ক্যানাডা (৮৭.৮৫ এমবিপিএস)৷ তবে ব্রডব্যান্ড গতির দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সপ্তম (২১৫.৭২ এমবিপিএস)৷

দক্ষিণ এশিয়ায় ইন্টারনেটের গতির দিক থেকে ভারত রয়েছে শীর্ষে৷ ভারতের মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোডের গতি ৭৫.৮৬ এমবিপিএস৷ এক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে ভারতের অবস্থান ২৮ তম৷ তবে ফিক্সড ব্রডব্যান্ডে ভারতের অবস্থান তত ভালো নয়৷ ৫৫.৮০ এমবিপিএস ডাউনলোড গতি নিয়ে অক্টোবরে দেশটির অবস্থান ছিল ৮৯তম৷

সূচক অনুযায়ী অক্টোবরে মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশ বিশ্বে ১১১ তম অবস্থানে ছিল৷ বাংলাদেশে গড় ডাউনলোড স্পিড ২০.৬৬ এমবিপিএস৷ ব্রডব্যান্ডের গতি তার চেয়ে কিছুটা বেশি ৩৮.৬৫ এমবিপিএস৷ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮৷ মোবাইল ইন্টারনেটে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের উপরে ভারত ছাড়াও আছে মালদ্বীপ (৩৬তম)৷ আর নীচে নেপাল (১২৭তম), শ্রীলঙ্কা (১২৭তম) ও পাকিস্তান (১২৬তম)৷

সংযুক্ত আরব আমিরাতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে এক জিবির একটি ফাইল ডাউনলোড করা যাবে৷ ভারতের ক্ষেত্রে প্রায় দুই মিনিট আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে লাগবে সাড়ে ছয় মিনিটের মতো৷