1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্রয়প্রার্থীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জার্মানি

৭ মার্চ ২০২৪

বেড়ে চলা আশ্রয়প্রার্থীর ঢল সামলাতে জার্মানি নভেম্বর মাসে যে সব সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুধবার চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা তার পর্যালোচনা করেন৷ জুন মাসের মধ্যে সব পদক্ষেপের মূল্যায়ন করবেন তাঁরা৷

https://p.dw.com/p/4dFSu
বার্লিনের অভিবাসন কার্যালয়ের সামনে বিদেশিদের ভিড়
জার্মানিতে বহিরাগতদের ঢলকে কেন্দ্র করে প্রবল রাজনৈতিক বিবাদ চলছেছবি: Adam Berry/Getty Images

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংকটের জের ধরে ইউরোপে শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ জার্মানিতে বহিরাগতদের সেই ঢলকে কেন্দ্র করে প্রবল রাজনৈতিক বিবাদ চলছে৷ এএফডি-র মতো চরম দক্ষিণপন্থি দল বিষয়টিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের অনিশ্চয়তার ফায়দা তুলছে৷ এমন পরিস্থিতিতে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি সংকট সামাল দিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনতার অভিযোগ খণ্ডন করার চেষ্টা করছে৷ গত নভেম্বর মাসে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা একগুচ্ছ পদক্ষেপের বিষয়ে ঐকমত্যে এসেছিলেন৷

বুধবার জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অভিবাসন নীতির বিভিন্ন দিক ও বাস্তব সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ বার্লিনে শলৎস বলেন, বেশ কিছু মৌলিক পরিবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনই তার সুফল দেখা যাচ্ছে না৷ যেমন আশ্রয়প্রার্থীদের নগদ আর্থিক সহায়তার বদলে ডেবিট কার্ড দেওয়ার পদক্ষেপ কার্যকর করতে সময় লাগছে৷ অনেক আশ্রয়প্রার্থীরা এতকাল নগদ অর্থ নিজেদের দেশে পাঠিয়ে আসছেন বলে সমালোচনা হচ্ছিল৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশে শরণার্থীদের আবেদন পরীক্ষার ব্যবস্থার সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আগামী ২০শে জুন আগামী শীর্ষ বৈঠকের আগে সেই উদ্যোগের প্রাথমিক ফলের জন্য মুখ্যমন্ত্রীরা চাপ দিচ্ছেন৷ সেই সব পদক্ষেপের পাশাপাশি শলৎস অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসন সীমিত করতে সব সময়ে সক্রিয় থাকার উপর জোর দেন৷ তার মতে, গত ২০-২৫ বছরে এমন সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি৷

প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবির সরকারের উপর আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমা স্থির করার জন্য চাপ দিচ্ছে৷ কিন্তু আন্তজার্তিক ও জাতীয় আইনের আওতায় এমন কোনো সুযোগ নেই বলে সরকার ও কয়েকটি রাজ্য মনে করছে৷ তবে সব মিলিয়ে নভেম্বর মাসে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে চ্যান্সেলর ও মুখ্যমন্ত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিছু বাড়তি পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছেন৷ যেমন বাভেরিয়া ও স্যাক্সনি রাজ্য সরকার ইউক্রেন থেকে আসা মানুষের বিশেষ আর্থিক সুবিধা বন্ধ করে আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে তাদের সাধারণ আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে গণ্য করার দাবি তুলছে৷ আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমাতে ইউনিয়ন শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীরা আরো কিছু দেশের সঙ্গে অভিবাসন চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সরকারের উপর চাপ দিচ্ছেন৷ সে ক্ষেত্রে আশ্রয়ের আবেদন নাকচ হলে সেখান থেকে আসা মানুষদের ফেরত পাঠানো সহজ হবে৷২০২৩ সালে জার্মানিতে প্রায় তিন লাখ উনত্রিস হাজার বহিরাগত রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন৷ ২০২২ সালের তুলনায় সংখ্যাটা প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি৷ তার উপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে প্রায় দশ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে এসেছেন৷ বহিরাগতদের এমন ঢল সামলাতে বিশেষ করে পৌর স্তরে নানা সমস্যা দেখা যাচ্ছে৷ তাদের বাসস্থান, ভাষা শিক্ষা, শিশু-কিশোরদের জন্য কিন্ডারগার্টেন বা স্কুলের ব্যবস্থা অনেক পৌর কর্তৃপক্ষের সাধ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে৷ বাড়তি আর্থিক ব্যয়ভার নিয়েও সমস্যা দূর হয় নি৷ নভেম্বরের বৈঠকে প্রত্যেক আশ্রয়প্রার্থীর জন্য পৌরসভাগুলিকে বছরে ৭,৫০০ ইউরো অনুদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও অনেক শহর ও গ্রাম ঘাটতির অভিযোগ করছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য