1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে বন্যায় নিহত কয়েক ডজন মানুষ

১৮ মে ২০২৪

ভারী বৃষ্টিপাত মধ্য আফগানিস্তানে ফের বিপর্যয় ডেকে এনেছে৷ গত সপ্তাহের বন্যার ক্ষতি এখনো তারা সামলে উঠতে পারেনি৷ তারমধ্যেই আবারও আকস্মিক বন্যা হলো আফগানিস্তানে৷

https://p.dw.com/p/4g1jb
বাঘলান প্রদেশ এখনো বন্যার ক্ষত কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে চলেছে
জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি।ছবি: AP/picture alliance

স্থানীয় পুলিশ বলছে, হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কৃষি জমির বিশাল অংশ প্লাবিত হয়েছে৷

সেন্ট্রাল আফগানিস্তানে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া নতুন ফ্লাশ ফ্লাড বা আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন৷ শনিবার একজন কর্মকর্তা এ কথা জানান৷

ঘোর এলাকার পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বদ্রি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘শুক্রবার বন্যায় ঘোর প্রদেশের ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন৷''

সেন্ট্রাল ঘোর প্রদেশের তথ্য বিভাগের প্রধান মাওলাভি আবদুল হাই জাইম বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের দুর্যোগে কতজন আহত হয়েছেন তার কোনো তথ্য নেই৷

জাইমের মতে, প্রদেশের রাজধানী ফিরোজ-কোহ-তে কমপক্ষে দুই হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, চার হাজার বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কমপক্ষে দুই হাজার দোকান পানির নিচে তলিয়ে গেছে এবং শত শত হেক্টর কৃষি জমি ধ্বংস হয়েছে।

বন্যার কারণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরুদ্ধ রয়েছে৷

ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরের মাঝে বসে হতাশ এক ব্যক্তি
ঘোর প্রদেশের বন্যায় ৫০ জন বাসিন্দা প্রাণ হারান এবং আরো কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন।ছবি: AP/picture alliance

এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বিপর্যয়

গত সপ্তাহে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ বাঘলান আকস্মিক বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষতি হয়৷

গত রোববার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, বাঘলানের বন্যায় কমপক্ষে ৩১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হন৷

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বলেছে, জীবিতদের কোনো বাড়ি নেই, জমি নেই এবং জীবিকার কোনো উৎস নেই৷

ঘোর প্রদেশের নদীতে ভেসে যাওয়াগুলো মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টার সময় ‘প্রযুক্তিগত সমস্যার' কারণে গত বুধবার আফগান বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে৷

দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হন ও ১২ জন আহত হয়৷

জাতিসংঘের মতে, আফগানিস্তান জলবায়ু-জনিত বিপর্যয়ের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির মধ্যে একটি৷ ২০২১ সালে দেশ থেকে বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহারের পর তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে৷ তারপর থেকে সাহায্য তহবিলের ঘাটতির মুখে পড়েছে আফগানিস্তান৷

পানি সংকটে বিপর্যস্ত কাবুল

আরকেসি/আরআর (এএফপি, রয়টার্স)